অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে বলেন, ‘‘ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’’ বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে তার নিজ দল ডেমোক্রেট ও বিরোধী রিপাবলিকা পার্টি। সূত্র: বিবিসি, ভারতের আনন্দবাজার।
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস-মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালি এলাকায় প্রাচীরের নতুন অংশটি নির্মিত হবে বলে জানিয়ে মায়োরকাস বলেন, ‘‘এ সংক্রান্ত অর্থ বরাদ্দ অনুমোদনে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’’
[৪] ডেমোক্রেটরা বলছে, এ ধরণের প্রাচীর কোন কাজে আসবে না। আর রিপাবলিকানরা বাইডেনের সিদ্ধান্তকে ভন্ডামি আখ্যায়িত করেছেন। উল্লেখ্য, কেবল এ অর্থবছরেই প্রায় ২২ লাখ অভিবাসি প্রত্যাশিকে আটক করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
[৫] আগামী বছরের হোয়াইট হাউস দখলের ভোটাভুটির আগে বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত ডেমোক্রেট শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট ভোটে বাইডেনের প্রচারের বড় অংশ জুড়ে ছিল প্রাচীর বন্ধের প্রতিশ্রুতি।
[৪] ২০১৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর প্রাচীর নির্মাণ করবেন তিনি। গোড়া থেকেই ডেমোক্রেট শিবির ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব ছিল। এমনকি, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রাচীর নির্মাণের জন্য আর্থিক বরাদ্দ অনুমোদনের ক্ষেত্রে আমেরিকার কংগ্রেসে বার বার বাইডেনের দলের বাধার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তবুও লক্ষ্য থেকে সরেননি তিনি।
[৫] ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট ভোটে বাইডেনের কাছে হারার আগে পর্যন্ত মেক্সিকোর সীমান্তের একশো কিলোমিটারের বেশি এলাকায় ইস্পাতের প্রাচীর নির্মাণ করিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই বাইডেন কলমের এক খোঁচায় ১৭টি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বাইডেন জমানায় শুরু প্রাচীর নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখা।